আমাদের সম্পর্কে কিছু কথা

খোকন রায়

অধ্যক্ষ DMWO

তপন সরকার

ঝলক রায়

বিমল দে

শতম রায়

জয় কুমার পাল

শুভ পন্ডিত

শফিকুর রহমান

গোবিন্দ বনিক

আকাশ সাহা

রাজু সাহা

তারক সাহা

আকাশ সরকার

খোকন রায়, DMWO এর প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ। তিনি অতি দারিদ্রতার সহিত যুদ্ধ করতে করতে আজ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি সরকারি জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজ, ভৈরব ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে বর্তমানে কর্মরত। 

বাবা প্রচুর সম্পত্তির মালিক হয়েও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে প্রথমে মুদি দোকান তারপর রংমিস্ত্রি হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। যেখানে সংসারে সাধারণ খরচ মিটাতে হিমসিম খেতেন সেখানে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে খুব কষ্ট করতে হত। মা ছিলেন সাধারণ গৃহিনী, কিন্তু তিনি শিক্ষানুরাগী। তিনি যে করেই হোক একটি মাত্র ছেলেকে লেখাপড়া করিয়ে প্রতিষ্ঠিত করবেন এই প্রত্যয়ে হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরী করে নির্দিষ্ট দোকানে বিক্রি করতেন। বিক্রির কাজে মাকে সহযোগীতা করতেন খোকন রায়। পাশাপাশি তিনি নিচের ক্লাসের ছাত্রদের টিউশন করিয়ে সংসারে সহযোগিতার পাশাপাশি নিজের লেখাপড়ার খরচ যোগাতেন। সেই থেকেই দারিদ্রতার কষ্ট মর্মে মর্মে উপলব্ধি করে সংকল্প করেছিলেন বড় হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে দারিদ্রতার বিরুদ্ধে মানব কল্যাণে ব্রতি হবেন।

পথ পরিক্রমায় জীবনের একটা পর্যায়ে আদর্শিক মহামানব শ্রীশ্রী দয়াল মোহনলাল চাঁন ফকিরের সংস্পর্শে আসেন তিনি। খোকন রায়কে তিনি বললেন শুধু পূজা-পার্বন দ্বারাই ঈশ্বরকে সন্তোষ্ট করা যায় না, মানবকল্যাণ দ্বারাও ঈশ্বরকে তুষ্ট করা যায়। তাই তুমি মানবকল্যাণে আত্ম নিয়োগ কর। পূর্ব থেকেই অন্তরে মানবকল্যাণের বীজ বপন করছিল, আদর্শিক মহামানবের আদেশে সেই বীজ অঙ্কুরোদগম হতে থাকল। এবং এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এই DMWO. (দয়াল মোহনলাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন)।

দীর্ঘদিনের চিন্তা চেতনাকে ভাবনায় পরিণত করে সংঘটনের সহযোগী সদস্য মি: তারকনাথ সাহার সঙ্গে চুড়ান্ত আলোচনায় সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে সংগঠনের রূপরেখা প্রণয়ন করলেন। এবং প্রতিষ্ঠা করলেন DMWO নামক একটি মানবকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান।

যার প্রতিষ্ঠাকাল ০১ নভেম্বর ২০১১ খ্রি.। অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে অধ্যক্ষ মহোদয়ের বাসভবনকে নির্বাচন করা হয়। রূপ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গঠন করা হয় দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয় স্থায়ী পরিষদ এবং মতাদর্শে একাত্বতা প্রকাশকারী অনুগত ছাত্র, বন্ধু ও শুভাকাঙ্খিদের নিয়ে গঠন করা হয় অস্থায়ী পরিষদ যার মেয়াদ কাল দুই বছর ও নবায়ণযোগ্য। এছাড়াও রয়েছে সম্মানিত সাধারণ সদস্য। কার্যক্রম সূচারুরূপে করার জন্য রয়েছে সব স্তর মিলে ওয়ার্কিং কমিটি। সংগঠনে এই রীতি প্রচলিত রয়েছে যে, কর্ম শৃঙ্খলার প্রয়োজনে পদবিন্যাস রয়েছে ঠিকই কিন্তু দারিদ্রতার বিরুদ্ধে মানবকল্যাণে আমরা সবাই এককাতারের যোদ্ধা। যে কোন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী অনুষ্ঠান উদ্যাপন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। এর মাধ্যমে সংগঠনের কর্মী, দাতা, সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিবর্গের নবউন্মাদনায় উৎসাহ বৃদ্ধি, সামাজিক যোগাযোগ, অর্থনৈতিক এবং মানসিক সমর্থনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। তাই আমরা প্রতিবছরই সমাজের গুণিজনদের সংবর্ধনা প্রদানের মাধ্যমে উৎসবমূখর পরিবেশে সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করে থাকি।

একটি শ্লোগান/ একটি আদর্শই পারে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রকে বদলে দিতে। DMWO নিবিড় পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, বর্তমান সময়ে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রে যথাযথ দায়িত্ব কর্তব্য এবং সততার অভাবে শান্তি, শৃঙ্খলা এবং মানবিক উন্নয়নের গতি চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একজন ব্যক্তি, একটি পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের ধারক বাহক। এই বিশ্বাস থেকে DMWO ‘তোর জন্য কে কি করল তা দেখতে যাসনে, তুই কি করলি তা দেখ’ এই বাণীকে শ্লোগান বা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছে শান্তি, শৃঙ্খলা ও মানবিক কল্যাণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।